গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না: মির্জা ফখরুল

0

‘বেগম খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই সীমান্তে শত্রুরা এখনও ভয় পায়। তিনি না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না। খালেদা জিয়া বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে আজকে বন্দী করে রেখেছেন। কারণ আপনারা জানেন, তাকে যদি অসুস্থ অবস্থায় বিদেশে না পাঠান, তিনি যদি জীবন থেকে চলে যান তাহলে আপনার পথের কাটা দূর হবে। বন্ধুগণ তা হয় না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তারা ভেবেছিল বোধ হয় বিএনপি শেষ গেল, তা হয়নি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সঠিকভাবে নির্বাচন করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে। তার নেতৃত্বেই বিএনপির পতাকা আবার ওপরে ধরে রাখবো।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। আমাদের স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক, আমাদের গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি আছেন বলেই এখনও গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে। তিনি আছেন বলেই আমাদের শত্রুরা সীমান্তে ভয় পায়। এখনও আওয়ামী লীগ যে আছে, ওই দেশনেত্রী বেঁচে আছেন বলেই, তা না হলে আওয়ামী লীগ থাকতো না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, যে কথা আগেও বলেছি, এই দেশের গণতন্ত্র যদি চালু রাখতে চাই, এই দেশে সত্যিকার অর্থে যদি সুশাসন চালু রাখতে হয়, স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব চালু রাখতে হয়, আমাদের অধিকারগুলো যদি বহাল রাখতে চাই তাহলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আবার রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

বাংলাদেশের সকল বিজয় অর্জন হয়েছে ছাত্রদের নেতৃত্বে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ছাত্ররা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। অনেকে গুম হয়েছে, অনেক খুন হয়েছে, এখনও অনেকে কারাগারে আছে। এদেরকে মুক্ত করতে হলে, অন্যায় নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হলে আজকে যুবক-তরুণদের জেগে উঠতে হবে। বাংলাদেশের সব বিজয় অর্জন হয়েছে ছাত্রদের নেতৃত্বে। ১৯৭০ সালে ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছিল। ’৭১সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছিল ছাত্রদের নেতৃত্বে। ’৬৯ এ আইউব খানকে পরাজিত করেছিল ছাত্রদের নেতৃত্বে। আজকে আবার সেই ছাত্রদের জেগে উঠতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।

এ সময় তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছে প্রশ্ন করেন আমরা কি সবাই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছি? আমরা কি সব রকম ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি? ছাত্র নেতারা দুই হাত তুলে প্রস্তুত আছি জানালে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা শিগগিরই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো। তাকে বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হবো।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ড.আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক  দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক  দলের সাধারণ সম্পাদক  আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েল,  ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  আকরামুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এছাড়াও ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, জাকির হোসেন জাকির, মামুন হাসান,  জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com