ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার

0

সরকার দেশের নাগরিকদের জন্য উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। ই-পাসপোর্টের আগে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু ছিল। পাসপোর্ট একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পাসপোর্ট ছাড়া কোনো নাগরিক দেশের বাইরে যেতে পারেন না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ কর্মরত আছেন। তাদের প্রত্যেকের কাছে রয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। সরকার ই-পাসপোর্ট চালু করায় যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনি সমস্যাও দেখা দিয়েছে কিছু। ই-পাসপোর্ট তৈরি হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে। আগের মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে মিল না থাকলে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ মানুষের ভোটার আইডি কার্ডে ছোটখাটো ভুল রয়েছে। এ ভুলের কারণে মানুষ ই-পাসপোর্ট পাচ্ছে না।

জানা যায়, দেশের পাসপোর্ট অফিসগুলোতে অসংখ্য ই-পাসপোর্ট আটকা পড়ে আছে। ই-পাসপোর্ট আটকে যাওয়ায় অনেকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে গেছেন। অনেকে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ই-পাসপোর্ট নিতে গিয়ে আটকে আছেন। অনেক প্রবাসী ভিসার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও বিদেশে যেতে পারছেন না। অনেকে জরুরি কাজে, ব্যবসার কাজে, চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছেন না। এতে করে সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীরা মাসের পর মাস স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ধরনা দিতে দিতে হয়রান হয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তাদের সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারছেন না। কারণ, ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম পরিচালিত হয় রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পাসপোর্ট অফিস থেকে। হাজার হাজার ই-পাসপোর্টে জটিলতা থাকায় সহসা সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না।

আগে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সংশোধন করার সুযোগ থাকায় পাসপোর্ট পেতে তেমন সমস্যা হতো না। বর্তমানে ই-পাসপোর্টে সংশোধনের সুযোগ থাকলেও তা সীমিত পর্যায়ে করা হচ্ছে। এ কারণে ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ই-পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে গিয়ে পাসপোর্ট আবেদনকারীরা যে সমস্যায় পড়ছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দেশের নাগরিকরা পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু ই-পাসপোর্টে যেসব নিয়মকানুন বা জটিলতা রয়েছে, সেগুলোর কারণে অনেকেই পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হবে। ই-পাসপোর্ট সহজভাবে পেতে জটিলতা কমাতে হবে। পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্যে ভুল-ভ্রান্তি থাকলে তা সহজে সমাধান করার সুযোগ দিতে হবে। এ ব্যাপারে পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি আন্তরিকভাবে বিশেষ উদ্যোগ নেন, তাহলে ই-পাসপোর্টের জটিলতা কমে যাবে। পাসপোর্টের সঙ্গে দেশের অর্থনীতির বিশাল যোগসূত্র রয়েছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চপর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি, এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com