করোনাভাইরাসের কম পরিচিত লক্ষণগুলো

0

করোনাভাইরাসের দাপটে গোটা বিশ্ব নাজেহাল হয়ে উঠেছে। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। বদলেছে মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা। কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে। কবে মুক্তি পাব এই মহামারি থেকে তা আমরা কেউই জানি না। দিনের পর দিন এক একটি নতুন উপসর্গ বা লক্ষণ নিয়ে হাজির হচ্ছে মানুষের মধ্যে। ফলে রোগের প্রকৃতি ও উপসর্গ বুঝতে গিয়ে এক এক দিন এক এক ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে চিকিৎসক ও গবেষকদের।

রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে গিয়ে এখনো ধাঁধায় রয়েছে চিকিৎসকমহল! হাঁচি, সর্দি, কাশি শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের উপসর্গ ছাড়াও সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে দেখা দিচ্ছে নতুন ধরনের উপসর্গ।

কোভিড-১৯-এর সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ কোভিড-১৯-এর যেসব লক্ষণের কথা এতদিন আমরা শুনে এসেছি সেগুলো হলো – জ্বর শুকনো কাশি গলা ব্যথা সর্দি ও নাক বসে যাওয়া বুকের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ইনফেকশন স্বাদ এবং গন্ধ চলে যাওয়া।

কোভিডের কম পরিচিত

লক্ষণ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট, কোভিড-১৯-এর কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ। তবে অনেক সময় সংক্রামিত রোগীদের মধ্যে এমন অনেক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে যেগুলোর দিকে সাধারণত আমরা খুব একটা নজর দিই না। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক, কোভিড-১৯ এর কম পরিচিত লক্ষণগুলি সম্পর্কে।

পেটে ব্যথা ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা

আমেরিকান জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত রোগীদের মধ্যে গুরুতর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হতে পারে। তথ্য অনুযায়ী, চীনে ২০৪ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ৪৮.৫ শতাংশ পেটের সমস্যায় ভুগছেন। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যার মধ্যে ডায়রিয়া, বমি বা বমি বমি ভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্যও অন্তর্ভুক্ত।

আই ইনফেকশন
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক কোভিড রোগীদের মধ্যে চোখের সংক্রমণের ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। গবেষকদের দাবি, করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে চোখেও। এর ফলে চোখ কনজাঙ্কটিভাইটিসের মতো লাল হয়ে যায়। এই উপসর্গটিকে গবেষকরা ‘পিঙ্ক আই’ নামেও অভিহিত করছেন। চোখের সাদা অংশের উপরে যে পাতলা একটি আবরণ থাকে তাকে বলা হয় কনজাংটিভা। যেকোনো কারণে চোখের এই অংশে প্রদাহ (Inflammation) হলে একে কনজাঙ্কটিভাইটিস বলা হয়। সাধারণ অর্থে একে ‘চোখ ওঠা’ বলে।

অ্যালার্জি, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চোখের এই সাদা অংশটি লাল হয়ে যায়, পানি পড়ে এবং চোখ চুলকাতে থাকে। এছাড়াও, চোখে নোংরা জমে, চোখ ও মাথার যন্ত্রণা হয় এবং কারো কারো দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে যায়। করোনা ভাইরাস রোগীদের মধ্যে এটি একটি বিরল তবে প্রচলিত লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ব্রেন ফগ
কোভিড সংক্রামিত রোগীদের মধ্যে ক্লান্তির অনুভূতি থাকা একটি সাধারণ লক্ষণ, কিন্তু অনেকে মানসিক অবসাদের কথাও জানিয়েছেন, যা ব্রেন ফগ নামেও পরিচিত।

এই মারণ ভাইরাসের সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণগুলোর পাশাপাশি এই কম পরিচিত লক্ষণগুলোর দিকেও নজর রাখা উচিত, কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com