মুন্সীগঞ্জের অজানা কিছু তথ্যঃ

0

★মুন্সীগঞ্জের প্রাচীন নাম ছিলো বিক্রমপুর।

★মোঘল শাসনামলে মুন্সিগঞ্জ এর নাম ছিলো ইদ্রাকপুর।

★বৈদিক যুগ থেকে সোনারগাঁ রাজধানী হিসেবে আবির্ভূত হবার আগ পর্যন্ত প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিলো বিক্রমপুর।

★মুন্সীগঞ্জ পুরোটাই গ্রামাঞ্চল।

★বর্তমানে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি কারী পদ্মা সেতুর অধিকাংশ মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত।

★একসময় মুন্সীগঞ্জে অধিক সিনেমাহল থাকলেও বর্তমানে সব বিলুপ্তপ্রায় এবং এখন মাত্র ১টি সিনেমাহল মুন্সীগঞ্জে আছে যেটি “পান্না” হল নামে পরিচিত।এটি বাংলাদেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ বৃহত্তম হল এটি মুক্তারপুরে অবস্থিত।

★একসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে শিক্ষিত নগরী ছিলো মুন্সীগঞ্জ। বর্তমানে মুন্সীগঞ্জে শিক্ষার হার ৬১ শতাংশ এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলের দিক দিয়ে মুন্সীগঞ্জ বাংলাদেশে ১ম স্থান অধিকার করছে।

★মুন্সীগঞ্জে আগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন বেশী ছিলো কিন্তু বর্তমানে এটি নেই বললেই চলে।

★শিল্প প্রতিষ্ঠানের দিক দিয়ে মুন্সীগঞ্জ বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং এটি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম প্রভাবশালী জেলা।

★মুন্সীগঞ্জে ৬টি উপজেলা রয়েছে যার মধ্যে শ্রীনগরকে সবচেয়ে প্রভাবশালী বলে ধরা হয় যার অর্থের মূল উৎস প্রবাসী।

★একসময় মুন্সীগঞ্জের সবচেয়ে জমজমাট নগরী ছিলো কমলাঘাট(মিরকাদিম)।ফেরি চলাচলের জন্য অনেকে মুক্তারপুরকেও ধরে থাকতো কিন্তু বর্তমানে মুক্তারপুরকেই ধরা হয়।

★অনেক ঐতিহাসিকদের মতে বাংলাদেশের ১ম মসজিদ হচ্ছে বাবা আদমের মসজিদ যা দরগাহ বাড়ী সিপাহিপাড়ায় অবস্থিত তবে তার সত্যতা এখনো পাওয়া যায় নি

★মুন্সীগঞ্জে ঐতিহাসিক দুটি কলেজ হচ্ছে,সরকারী হরগঙ্গা কলেজ(১৯৩৮) ও সরকারী শ্রীনগর কলেজ(১৯৭০)।এছাড়াও রামপাল মহাবিদ্যালয়ের(১৯৭২) আলোড়ন ব্যাপক।

★মুন্সীগঞ্জে ঐতিহাসিক ৩টি স্কুল হচ্ছে, মুন্সীগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়(১৮৮৫), কেঃকেঃ গভঃ ইন্সটিটিউশন(১৯৪২) ও এ ভি জে এম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়(১৮৯২) এবং স্বল্প সময়ে সবচেয়ে পরিচিতি প্রাপ্ত ও সেরা ফলাফলের দিক দিয়ে নবাগত প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন স্কুল(২০০৭) অন্যতম।

★মুন্সীগঞ্জে একটি সরকারী পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে এটি মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট(২০০৬)নামে পরিচিত এবং এটি মিরকাদিমে অবস্থিত

★বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী মনীষির জন্মস্থানের দিক দিয়ে মুন্সীগঞ্জ বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম।

★মুন্সীগঞ্জ আলুর জন্য বিখ্যাত, এখানকার পদ্মার ইলিশ সারাদেশে খ্যাতিমান তবে বিশ্লেষকদের মতে মুন্সীগঞ্জ ব্যাক্তিত্বের জন্য দিয়ে বিখ্যাত।

★মুন্সীগঞ্জকে বাংলাদেশের অতিথি পরায়ন জেলা বলা হয়।

★মুন্সীগঞ্জে মেয়েদের রান্না সারাদেশে প্রশংসনীয়।

★১৯৭১ সালের ৯ মে পাকবাহিনী গজারিয়ায় অভিযান চালিয়ে চার শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসিকে গুলি করে হত্যা করে এবং ১৪ মে কেওয়ারে হামলা করে কিছুসংখ্যক যুবককে হত্যা করে এবং ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ শত্রুমুক্ত হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com