সবজি ও ফল জীবাণুমুক্ত করবেন যেভাবে

0

করোনাভাইরাস মহামারির দাপটে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। লকডাউন আর কারফিউতে থমকে গেছে জীবন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস হানা দিয়েছে আমাদের দেশেও। ইতোমধ্যে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে এই ভাইরাসে।

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এত সংক্রামক জীবাণু সাম্প্রতিক সময়ে দেখেনি বিশ্ব। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সবাইকে থাকতে বলেছে নিজ নিজ বাসায়।

কিন্তু তবু তো জীবন থেমে থাকে না। বেঁচে থাকতে প্রয়োজন হয় খাবারসহ নানা জরুরি পণ্যের। আমরা অনেকেই হয়তো আগে বেশ কিছু পণ্য কিনেছি। কিন্তু শাকসব্জি ও ফলমুলসহ কিছু পণ্য আবার কিনতেই হচ্ছে। কিন্তু এই শাকসব্জি থেকে যাতে করোনা না ছড়ায় সে ব্যাপারে আমরা সচেতন তো? এগুলোকে জীবাণুমুক্ত করতে নিচ্ছি কী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা? সবজি ও ফল পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু সাবধানতা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। কথায় বলে না-সাবধানতার মার নাই!

রইল ফল ও সবজি পরিষ্কারের কিছু উপায়ঃ

আগে নিজের হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিনঃ শাকসবজি ধোয়ার আগে আপনার হাত পরিষ্কার আছে কিনা তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে নিজের ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করুন।

কলের পানির নিচে রেখে ধুতে হবেঃ বাজার থেকে কেনা ফল এবং শাকসবজি কলের নিচে রেখে হাত দিয়ে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে জীবাণু সংক্রমণের ভয় থাকে না।

সাবান পানি নয়ঃ সাবান বা ডিটারজেন্ট নয়, বাজার থেকে আনা ফল এবং শাকসবজি শুধু পানি দিয়ে ধুলেই হবে। সাবান কিংবা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়া হলে ডায়রিয়া, মাথা ঘোরানো, বমি বমিভাবসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এগুলো সব্জি ও ফল ধোয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় না।

স্পঞ্জ ব্যবহার করা যায়ঃ কোনো কোনো সবজি ধোয়ার ক্ষেত্রে ব্রাশ বা স্পঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন। আলু বা গাজরের মতো সবজি পরিষ্কারের সময় ময়লা সবজিগুলোর গায়ে লেগে থাকে। সহজে ওঠে না। এগুলো ধুতে ব্রাশ বা স্পঞ্জ ব্যবহার করুন।

কিছু ফল ও সব্জিতে বিশেষ যত্নঃ কিছু ফল ও শাকসবজি ধোবেন বাড়তি যত্ন সহকারে আঙুরের মত নরম ফল পরিষ্কারের সময় বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলিকে ঝুড়িতে রেখে কলের নিচে রাখুন। লেটুস পাতা এবং শাক ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পচা বা বাড়তি পাতা ফেলে দিয়ে কিচেন টিস্যু দিয়ে মুছে রাখলে ভালো থাকে। লেটুস বা তরমুজের টুকরো প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখলে ভালো থাকে। অথবা বরফের ওপরেও রাখা যেতে পারে।

আলাদা রাখুন কাঁচা ও রান্না করা খাবারঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশানুসারে, কাঁচা এবং রান্না করা খাবার আলাদা রাখুন। বিশেষ করে কাঁচা মাংস এবং তাজা পণ্য। এছাড়াও, সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন সবাইকে অন্তত ৪০০ গ্রাম ফল এবং শাক-সবজি খেতে হবে ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com