২০২১ সালে বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

0
বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষণ, বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, গুম, রাজনৈতিক হয়রানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ, মানুষের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অমানবিক আচরণসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

 

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকেন। তবে পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, এ নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠু হয়নি। তাদের ভাষ্য, ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয় দেখানোসহ নানা অনিয়মের কারণে এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হয়নি।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি দুর্নীতি, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার জন্য তদন্তের অভাব এবং জবাবদিহির অভাব ছিল লক্ষণীয়। যৌন সহিংসতা, শিশু নির্যাতন, বাল্য ও জোরপূর্বক বিবাহ এবং সামাজিক চাপ অব্যাহত ছিল। সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বা আদিবাসীদের লক্ষ্য করে সহিংসতার হুমকি ছিল উল্লেখযোগ্য।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বেসামরিক কর্র্তৃপক্ষের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বেআইনি বা নির্বিচারে হত্যা, গুম, সরকারি লোকজনের নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক বন্দি, ব্যক্তির অপরাধের জন্য পরিবারের সদস্যদের শাস্তির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। স্বাধীন মতপ্রকাশ, গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। এসব ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহার এবং দুর্নীতির জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির খবর পাওয়া গেছে।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com