আরও দাম কমল জ্বালানি তেলের

0

ইউক্রেনে রুশ সামরিক আগ্রাসনের বিশ্ববাজারে তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। তবে যুদ্ধে এক ধরনের সমঝোতার আভাসের মধ্যেই তেলের দাম কিছুটা কমেছে। ধারণা করা হচ্ছিল যুদ্ধের প্রভাবে এবার তেলের দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই পূর্বাভাস দিয়েছিল তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১৫০ ডলার ছাড়াবে। অবশ্য দামের ঊর্ধ্বগতি সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে তেলের দাম।

রবিবারের (১৩ মার্চ) তেলের বাজারের হিসেবে, বর্তমানে ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০৯ ডলার ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ১০৫ ডলারে নেমে এসেছে। এতে করে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম কমেছে ২ দশমিক ২ শতাংশ।

চলতি বছরে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করলে অস্থির হয়ে উঠে বিশ্ববাজার। চলতি মাসেই ৭ মার্চ তেলের দাম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৩৯ ডলারে। ২০০৮ সালের পরে কখনই তেলের দাম এতটা বৃদ্ধি পায়নি বলে পরিসংখ্যান থেকে পরিলক্ষিত হয়।

রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শেরম্যান বলেন, যদিও রাশিয়ার আচারণ ধ্বংসাত্মক, তারপরই আমরা আশা করছি অতি দ্রুত দেশ দুটি সমঝোতার দিকে আগাবে।

এদিকে, একের পর এক নিষেধাজ্ঞা পর্যদুস্থ হয়ে পড়েছে রাশিয়া। নিজেদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সামলে উঠতে দেশটি ভারত ও চীনের সাহায্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

সোমবার (১৪ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সাথে চীনের কূটনৈতিক ইয়াং জেইচির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের আগেই সুলিভান বলেছে, কেউ রাশিয়াকে সাহায্য করলে তাদেরকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com