রাজনীতির আকাশে যে গভীর কালো মেঘ তার আড়ালে তারেক রহমান এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

0

আজ ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস।

ওয়ান ইলেভেন এর মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে ২০০৭ সালে ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। আটকের পরে তার বিরুদ্ধে চালানো হয় অপপ্রচারের ধারাবর্ষণ।

মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের কর্তৃত্ববাদী সরকার গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে নানা চক্রান্তের জাল ছড়ায়। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তা‌কে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। অথচ দেশের কোথাও তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা মামলা ছিল না।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দঃ
বর্তমান ক্ষমতাসীন ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বর্ধিতাংশ হচ্ছে ১/১১-এর সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্দ্বিধায় বলা যায়, তারেক রহমানের নাম দেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থেরই নামান্তর। অর্থাৎ নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার।

প্রিয় পাঠকবৃন্দঃ
সেসময় দিনের পর দিন তা‌রেক রহমান‌কে রিমান্ডের নামে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা পৈশাচিক ও শারীরিক অত্যাচারে তাকে গুরুতর জখম করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্মম অত্যাচারে শারীরিক ভাবে ক্ষতবিক্ষত হওয়া তারেক রহমান মুক্তির পরও হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠতে পারেননি। বর্তমানেও তিনি ব্রিটেনে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওয়ান ইলেভেনের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এই নেতা এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ তরুণ নেতা এখনও নির্মম নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে চলেছেন।

১/১১ সেসময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছিল, সেগুলো পরবর্তীতে বানোয়াট ও বানানো গল্প হিসেবে প্রমাণ হতে থাকে। আর সেজন্য দেশের জনগণ বিশ্বাস করেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে তা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দঃ
সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনও বয়ে চলেছে। নানাভাবে তাকে বিপর্যস্ত-বিপন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ও তাঁর দোসররা কূটচাল চালিয়েই যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা ও অন্যায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপূরণের গতি প্রতিনিয়ত অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিশেষে শুধু বলবো বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ‘বীরউত্তম’ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার আগ পর্যন্ত কোনো ষড়যন্ত্রই তাঁকে ছুঁয়ে যেতে পারবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বই জনগণ তাঁদের ভাতের অধিকার, ভোটাধিকার সহ সকল মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে, এবং আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিষাক্ত বলয়ে বন্দি থাকা দেশবাসীর বিজয় হবে। সেই প্রত্যাশায় আমি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবসকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, এবং তার দীর্ঘায়ু ও সর্বোপরি মঙ্গল কামনা করছি।

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com