পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো ঘাঁটি তৈরি করার সুযোগ দেবে না: ইমরান

0

দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিলে গভীর সংকটে পড়ে আফগান সরকার। এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক জেলা দখলে নিচ্ছে তালেবান, বাড়ছে সহিংসতা। এর মধ্যে সীমান্ত পার হয়ে তালেবানের দল ভারি করছেন পাকিস্তানিরাএমন অভিযোগ করা হচ্ছে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে। শুধু দল ভারিই করছে না, অংশ নিচ্ছে সহিংসতায়ও। তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানখান।

পিবিএস নিউজ আওয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তালেবানকে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। খবর আলজাজিরার।

অভিযোগের বিষয়ে ইমরান খান বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অর্থহীন।

সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তার সরকার পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো ঘাঁটি তৈরি করার সুযোগ দেবে না।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান বলেন, আমাদের সীমান্তের মধ্যে আর কোনো যুদ্ধ করার সক্ষমতা আমাদের নেই।

পাকিস্তান সংঘাতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাণিজ্য পর্যটন একেবারেই ধসেপড়েছে। সুতরাং আমরা আর কোনো লড়াইয়ের অংশ হতে চাই না’, যোগ করেন ইমরান খান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগান যুদ্ধ শেষ করতে তালেবান যেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা করে সে বিষয়ে জোর চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান।

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা তো হলো। এবার আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে সবার অংশগ্রহণ চাইলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান খান বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারহবে আফগানিস্তানের জন্য সেরা রাজনৈতিক সমাধান।

এটা ছাড়া আফগানিস্তানের জন্য আর কোনো সমাধান নেই। কারণ সামরিক উপায়ে দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্যর্থহয়েছে’, যোগ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে এক সম্মেলনে বলেছিলেন, গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর ধারণা অনুযায়ী, তালেবানের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য গত মাসেই পাকিস্তান এবং অন্যান্য জায়গা থেকে আফগানিস্তানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ এসেছেন।

দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। এর মধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেকেরও বেশিজেলার দখল নিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অগ্রযাত্রা রুখতে হিমশিম খাচ্ছে আফগান সরকার। গজনি, তখর, কান্দাহার, হেলমান্দ বাগলনসহ দেশের বিভিন্ন প্রদেশে এখনও তীব্র লড়াই চলছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com