গণতন্ত্র হত্যাকারী আওয়ামী লীগের জন্মইতো ‘তামাশা’ থেকে: মির্জা ফখরুল

0
  1. জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা’, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলেছেন, জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র যদিতামাশাহয়, তাহলে আপনাদের জন্মইতো সেইতামাশাথেকে।

বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কেনতামাশাবলেন? আপনারাতো বাকশাল করে নিজেদের নাই ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকামহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব অনেক কথা বলেন, তার একটা কথার উত্তর না দিলেঅসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তিনি বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল নাকি তামাশা।

আরে আপনাদের জন্মইতো ওই বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে। ৭৫ সালে আপনাদের নেতা এবং আপনারা বাকশাল করে নিজেদের কেনাই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।

বলেছিলেন, আমরা বাকশাল, আওয়ামী লীগ নাই। পরে যখন জিয়াউর রহমান সাহেব আপনাদের সুযোগ দিলো। আপনারা নিবন্ধন করেছেন। আপনাদের তিনি আবার নিয়ে এসেছেন ওই বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে। এখন আপনারা বলেন তামাশা?

হাসানুল হক ইনু একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে অস্ত্র হাতেতুলেনিয়ে ছিলেন। গণবাহিনী তৈরি করেছিলেন। আওয়ামী লীগের অনেককে হত্যা করেছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সশস্ত্রপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। কালের চক্রে ওই হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী হয়ে সবচেয়ে বড় দালালে পরিণত হন।তিনি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চান, আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কোথায়? কথা বলেন না কেন? বলেন কোথায়? একজনও স্লোগান দিয়েছেন দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য? একটা স্লোগানও দিয়েছেন? দেননি। আমি একটা স্লোগানও শুনিনিদেশনেত্রীর মুক্তি চাই কার জন্য রাজনীতি করছেন? কেন রাজনীতি করছেন? যে নেত্রী তার সারাটা জীবন এই দেশেরমানুষের জন্য দিয়েছেন। ৭১ সাল থেকে শুধু নির্যাতন আর নির্যাতন ভোগ করেছেন।

বৃদ্ধদের মাধ্যমে পরিবর্তন হয় নাউল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিবর্তন হয় তরুণযুবকদের হাত দিয়ে। বিখ্যাতএকটি কথা আছে, ‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময় এই কথাগুলো যদি মনে রাখতে না পারেন, তাহলে এইভয়াবহ দানবের সাথে কিভাবে যুদ্ধ করতে পারবেন। দানব কিন্তু ছোটখাটো দানব নয়, ভয়াবহ দানবফ্যাসিস্ট। পৃথিবীর কোনোদেশে ফ্যাসিস্টদের সরানো এত সহজে সম্ভব হয় না। এটা এরশাদ নয়, আইয়ুব খান নয় যে রাস্তায় আন্দোলন করবেন আর সরেযাবে। একটা শিক্ষিত সেনাবাহিনী ছাড়া কখনও যুদ্ধে জয় করা যায় না।

নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, আপনাদের মনে একটা গৌরব রাখতে হবে। আমি সেই দল করি যে দলের নেতা জিয়াউর রহমান।আমি সেই দল করি যে দলের নেতার জানাজার সময় লাখ লাখ মানুষ হাউমাউ করে কেঁদেছেন। আমি সেই দল করি যে দলেরনেতা কোনো দিন চুরি করেননি, তার চরম শত্রুও বলবে না যে সে চুরি করেছে। এগুলোই শক্তি। এই শক্তি নিয়ে এগোতে হবে।মনে রাখতে হবে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা গণতন্ত্র ফেরত চাই। আমরা ভোটের অধিকার চাই, ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই।

এখন আর সময় নেইজানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগে নিজেদের তৈরি করে ফেলেন। শক্ত হয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে আমরা জনগণকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসি। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করি। দাবি একটাই। চলে যাও, চলে যাও। রেহাই দেও বাংলাদেশকে। কথা পরিষ্কার, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেনিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তা না হলে এই বাংলাদেশের মানুষ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্মসম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com