রমজান তাকওয়া অর্জনের মাস

0

রমজানে মুমিন মুসলমানের অন্যতম কাজ হলো তাকওয়া অর্জন করা। কেননা তাকওয়া অবলম্বনের মাধ্যমে মাসে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সহজ হয়। রমজানে রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্যই হলো মানুষ দুনিয়ার সব অন্যায় গর্হিত কাজ থেকে বিরতথেকে নিজেদের আল্লাহর বন্ধু হিসেবে তৈরি করবে।

তাকওয়া বা পরহেজগারী অর্জন করা একমাত্র উপায় হলো রোজা পালন করা। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের ঘোষণাকরেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদেরউপর; যেন তোমরা তাকওয়া বা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

রোজা এমনই এক ইবাদত। যা দুনিয়ার সব নবিরাসুলের ওপর ফরজ ছিল। রোজা ফরজ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো তা মানুষকে তাকওয়ার শিক্ষা দেয়। আর কারণেই আল্লাহ তাআলা নিজেই রোজার প্রতিদান দান করবেন।

মানুষের জীবন গঠন পরিচালনার একমাত্র প্রশিক্ষণের সময় হলো পবিত্র রমজান মাস। মাসে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যম হলোরোজা। আর তাকওয়া অর্জনের প্রথম মাধ্যমও রোজা।

তাকওয়া অর্জনের প্রথম প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে রোজার বিধান পালনে মানুষ ভোর রাতে নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম মেনে সাহরি খায়।সারাদিন আল্লাহ বিধিবিধান পালনার্থে পানাহার ত্যাগ করে ইবাদাতবন্দেগিতে ব্যস্ত থাকে। সময় মতো জামাআতে নামাজ আদায় করে।

আবার সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই ইফতার করে। রাতে নিয়ম মেনে তারাবিহ নামাজ আদায় করে। কুরআনের বিধান মানতে রমজানের নিয়ম তান্ত্রিকতা বছরের অন্য মাসগুলো পালনে এবং তাকওয়া অবলম্বনে রোজাদারের জন্য রমজান মাস হলো প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

রমাজানের দীর্ঘ এক মাসের রোজার প্রশিক্ষণ শেষে মানুষ আবার আগের মতো পানাহার করবে ঠিকই কিন্তু বছরের বাকি সময়অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে রমজানের রোজার শিক্ষা স্থায়ীভাবে বিরাজ করবে সবার মাঝে।

মনে রাখতে হবে

তাকওয়া অর্জনে অন্যতম অন্তরায় হচ্ছে মিথ্যা। কেননা মিথ্যাকে সকল পাপের জননী বলা হয়। মিথ্যা বর্জনে রমজান মাসের বিকল্প নেই। তাকওয়া বা পরহেজগারী হলো মিথ্যা দূরভীত করার অন্যতম মাধ্যম। যার মাঝে তাকওয়া বা পরহেজগারী থাকবে, ওই ব্যক্তির দ্বারা মিথ্যা বলা সম্ভব হবে না। তাকওয়া বা পরহেজগারী মানুষকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখে। যা পবিত্র রমজান মাসেই অর্জন সম্ভব।

পরিশেষে

অপরাধমুক্ত সুশৃঙ্খল সুন্দর জীবনযাপন এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে রমজানে কুরআনের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। মানবজীবনকে সুন্দর, পরিপাটি শান্তিময় করার দিকনির্দেশনা জানার পাশাপাশি মানতে হবে কুরআনের সকল করণীয় বিধিবিধান।

পরিহার করতে হবে দুনিয়া পরকালের সুখশান্তি ধ্বংসকারী গোনাহের সব কাজ। নিষিদ্ধ কাজ পরিহার করে তাকওয়া অর্জনেকুরআনের নির্দেশ বাস্তবায়ন করাই হবে মানব জীবনের একমাত্র করণীয় কাজ।

রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে মানুষ লাভ করবে শান্তিময় নিয়মতান্ত্রিক জীবন এবং অর্জন করবে তাকওয়া পরহেজগারী।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানে তাকওয়া অর্জনের তাওফিক দান করুন। সুশৃঙ্খল জীবন গঠনে কুরআনের বিধানবাস্তবায়নে রমজানের নিয়মকানুনকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত নাজাতে দুয়ার খুলে দিন। আমিন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com