পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা

0

নানা কারণে আলোচিত সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি। এবার সেই ফাঁড়ির অদূরে ৫০০ গজের মধ্যেই সৈয়দ মওদুদ আহমেদ (৩৫) নামে অগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ওই কর্মকর্তাকে হত্যা করলেও পুলিশ জেনেছে একদিন পর।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় নগরের বন্দরবাজার ফাঁড়ি সংলগ্ন কোর্ট পয়েন্ট কালেক্টরেট মসজিদের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ নিয়ে মুখ খুলেছে পুলিশ। অথচ নগরের কোর্ট ও সিটি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশের ডিউটি থাকে। আর ফাঁড়ি পুলিশের বিচরণও এই স্থানটিতে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতিময় সরকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহত মওদুদ আহমেদ অগ্রণী ব্যাংক সিলেটের জৈন্তাপুর হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখায় ক্যাশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানাধীন নববালিজুরি টেংগুড়িপাড়ার আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।

পত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টায় কোতোয়ালী মডেল থানাধীন বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট মসজিদের সামনে সিএনজি অটোরিকশার (নং-সিলেট-থ-১২-৪২৭০) চালক নোমান হাসনুর (২৮) সঙ্গে তর্কবির্তক শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই চালকসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে মওদুদ আহমেদকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। চালক নোমান হাসনু ব্যাংকার মওদুদ আহমেদের মাথার সামনে স্বজোরে ঘুষি মারলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মাথায় গুরুতর আঘাত করায় ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ের কারণে তিনি মারা গেছেন। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম রয়েছে।

এদিকে, গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মওদুদ আহমদের মোবাইল থেকে ঘটনাটি তার ভাই আব্দুল ওয়াদুদকে জানানো হয়। পরে নিহতের এক বন্ধু হাসপাতাল গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে এক চালকের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, এলাকাটি জনাকীর্ণ হওয়ায় এ খবর কেউই বলতে পারে না। অবশ্য আমরা অনেক খোঁজাখুজির পর হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ পেলেও হাসপাতালের ভর্তিখাতায় তার নাম নেই। এরপর রোববার স্বজনরা বিনা ময়না তদন্তে মরদেহ নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তারা আইনি পদক্ষেপের দিকে যেতে শঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু আমরা অভয় দিয়ে মামলা দায়ের করিয়েছি। হত্যাকারীকে গ্রেফতারে বেশ কয়েকবার অটোরিকশা স্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

তিনি বলেন, পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কোর্ট পয়েন্ট অদূরে হলেও জনাকীর্ণ হওয়াতে ঘটনাটি কারো নজরে আসেনি। চালকরা কয়েকজন মিলে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিঠিয়ে হত্যা করেছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com