বাইডেনের জয়’ কমিয়েছে সোনার দাম

0

 যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের পর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশেও কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন গহনা ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা গণমাধ্যমকে বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সোনার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছিল। নির্বাচনের ফলাফল কী হয়? অস্থিরতায় আশঙ্কা মাথায় রেখে সবাই সোনার মজুদ বাড়িয়েছিল। ফলে বেড়ে গিয়েছিল দাম।

“জো বাইডেন জয়ী হওয়ায় সর্বত্র একটা স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে এসেছে। এর প্রভাবেই কমে আসছে গোল্ডের দাম।”

বাজুস মঙ্গলবার এক ঘোষণায় সব ধরনের সোনার দাম ভরিতে দুই হাজার ৫০৮ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

দেশের বাজারে বুধবার থেকে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৭৩ হাজার ৮৩৩ টাকায় বিক্রি হবে।

২১ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ৭০ হাজার ৬৮৪ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের বিক্রি হবে ৬১ হাজার ৯৩৬ টাকায়।

আর সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৫১ হাজার ৬১৩ টাকায়।

মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৭৬ হাজার ৩৪১ টাকায়, ২১ ক্যারেটের সোনা ৭৩ হাজার ৮৫৯ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬৪ হাজার ৪৪৪ টাকায় এবং

সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয় ৫৪ হাজার ১২১ টাকায়।

আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আরও কমলে স্থানীয় বাজারেও দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১৫ অক্টোবর সব ধরনের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়েছিলেন গহনা ব্যবসায়ীরা। তার আগে একবার বাড়িয়ে তারপর কমানো হয়েছিল।

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার আগরওয়ালা বলেন, যে কোনো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মন্দার সময় মূলত স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ কারণেই চলতি বছরে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণ কেনার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। এতে দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

এবার অগাস্ট মাসে দেশের বাজারে সোনার ভরি ৭৭ হাজার টাকা ছাড়িয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড।

আগরওয়ালা বলেন, গত আগস্টে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৭২ ডলার ৫০ সেন্ট পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। মূলত এ সময়ে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলো স্বর্ণের মজুত শুরু হয়। এসব দেশের বিনিয়োগকারীরা মহামারীর মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ দাম পেতে মজুতে জোর দিতে থাকেন। সব মিলিয়ে চলতি বছর স্বর্ণের দাম ২১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতায় আরও অস্থির হয়ে উঠেছিল সোনার বাজার।

কিন্তু তারপর দাম কমে মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের দাম ১৮০৪ ডলারে নেমে এসেছে, যা জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন।

আগরওয়ালা বলেন, নির্বাচনের পর এই তিন সপ্তাহে প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম ১০০ ডলার কমেছে। জো বাইডেন জয়ী হওয়ার পর থেকেই দাম কমতে থাকে।

দেশে সোনার দাম কমলেও রুপার দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হবে রুপার গহনা।

গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সোনার মতো হলমার্ক চিহ্নযুক্ত (কেডিএম) রুপা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বাজুস।

প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপা এক হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলংকার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২৫ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com