সাইবার হামলার আশঙ্কায় ব্যাংকে সতর্কতা জারি

সাইবার হামলার আশঙ্কায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে ফের সতর্কতা জারি করেছে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন লেনদেন ব্যবস্থা এবং এটিএম বুথে নজরদারি বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। দুই-একটি ব্যাংক ইতোমধ্যে রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রাখা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্ক ‘হ্যাক’ করতে পারে।

এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয় চিঠিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। ওই চিঠি পাওয়ার পর সতর্কতা হিসেবেরাষ্ট্রায়ত্ত রুপালী ব্যাংক শনিবার রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এটিএম বুথ বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রাহকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে এ তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম বলেন, “নির্দেশনা পাওয়ার পর পরই আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

তবে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ড রেসপন্স টিম-সার্ট এর প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ শনিবার রাত ১২টার দিকে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার কোনো হ্যাকার গ্রুপের সাইবার হামলার আশঙ্কার কোনো তথ্য এখনও আমাদের কাছে আসেনি। ‘কোস্টারিক্টো’ হ্যাকার গ্রুপের বিষয়ে আমাদের কাছে একটি এলার্ট এসেছে। এই এলার্টটি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, “তবে এটি সাইবার হামলার আশঙ্কার মতো কোনো বিষয় নয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা নিয়মিত সতর্ক থাকার থাকার মতোই একটি এলার্ট।”

শনিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়নি। এর আগে গত অগাস্টের শেষ দিকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সেই সতর্কতার অংশ হিসেব অনেক ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করেছিল। আবার কোনো ব্যাংক রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রেখেছিল। তবে কোনো সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেনি।