করোনার মধ্যে ‘শীত,’ কেমনে থাকবেন ফিট?

0

দেশের উত্তর অঞ্চলের প্রকুতি ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে। ঘর থেকে বাইরে বের হলে গা শিউরে ওঠে। কারণ শীত এসেছে। ভোরের শিশির সূর্যের আলোতে মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে, আসছে শীত। কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা।

তবে এবারের শীত আনন্দের না হয়ে আতঙ্কের বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে। দেশব্যাপী রয়েছে মরণঘাতি করোনার ছোবল। এর মধ্যে শীতকালে তার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশের স্বাস্থ্য বিশারদরা। শীতকালে এমনিতে নানা রকম ঠান্ডা জনিত রোগ বালাই একটু বেশি হানা দেয়। এর মধ্যে করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাস শীতে আধিক্য থাকে বলে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

তবে এখন থেকেই শীত জয়ের প্রস্তুতি নিলে আরামে কাটাতে পারেন শীত। স্বাস্থ্য সচেতন হলেই পারেন শীত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শীতকালের দিন ছোট হওয়াতেও অনেকেই আলাদা করে রূপচর্চা করতে পারেন না। তাই সহজেই যাতে আপনি মোহনীয় হয়ে উঠতে পারেন তার জন্য কিছু টিপস রইলো। 

শীতের দিনে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। গোসল শেষে সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে আপনার ত্বকের আদ্রতা ফিরে আসবে। উজ্জ্বল মুখে, সুন্দর চোখে আপনি সহজেই আকর্ষণীয় উঠতে পারবেন।  

শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি জেনে নিন

১. শীতে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস পরে বের হবেন। কারণ শরীরের হিট গুলো হাতের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায়। তাই হাতের গ্লাভস শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে।

২. শীতকালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায় খুব সহজেই। তাই আপনাদের মধ্যে যারা খুব রোগা আছেন তারা বেশি করে খাবার খান। তবে যারা মোটা তারা অবশ্যই এই সময় খাবারটা ডায়েট করে খাবেন। কারণ আপনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন।

৩. এই সময় সকালে বা দুপুরে কাজে বের হওয়ার সময় সানক্রিম মেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ শীতকালে সূর্য পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসে। আর তাই এই সময় ৮০ শতাংশ ক্ষতিকারক রে আমাদের স্কিনের ক্ষতি করতে পারে।

৪. আমরা অনেকেই মনে করি যে শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ির বাইরে বের হলে আমাদের শরীর হয়ত খারাপ করবে। তবে আপনি জানেন কি? ঠান্ডাতে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অনেক বেড়ে যায় ফলে শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

৫. শীতকালে শরীরকে গরম করতে অনেকেই মদ্য পান করে থাকে। কিন্তু আপনি জানেন কি, মদ্য শুধু আমাদের শরীরের ত্বককে গরম করে এবং শরীরের ভিতরের হিট আস্তে আস্তে কমিয়ে দেয়। মদ্য পান না করাই ভালো হবে।

৬ শীতকালে আমাদের জল তেষ্টা খুব কম পায়। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে জল খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়। কিন্তু শরীর ঠিক রাখতে গেলে আমাদের প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার পানি খাওয়া আবশ্যক। না খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিডনির সমস্যা, হজমের সমস্যা প্রভৃতিও দেখা দেয়। তাই জল তেষ্টা না পেলেও কিছু সময়ের ব্যবধানে বেশি করে জল খান। এতে দেখবেন শীতকালে শরীরের কোনও সমস্যাই দেখতে পাওয়া যাবে না।

৭ শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আমরা অনেক গরম জামা পরি। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি গরম জামা পরার ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে ঘাম হয়ে যায়। যার জন্য ঠান্ডার লাগার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বেশি গরম জামা না পরে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে যেটুকু দরকার সেইটুকু পরাই উচিত।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com