একযোগে কমল সব খাতের শেয়ারদর

0

পুঁজিবাজারের সূচকে ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী প্রবণতা যেমন পরিস্থিতিই হোক না কেন সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো খাতের একক আধিপত্য চোখে পড়ে। বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকে পড়তে দেখা যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি খাতের শেয়ারে। তবে দীর্ঘদিন পর গতকালের বাজারচিত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। এদিন একযোগে কমেছে তালিকাভুক্ত সব খাতের কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। 

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান হয়েছে চার হাজার ৮৮৭ পয়েন্টে। তবে সূচক পতনের দিন দেখা যায়নি কোনো খাতের একক আধিপত্য। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট খাতের শেয়ারে আলাদাভাবে চোখ ছিল না বিনিয়োগকারীদের, যে কারণে প্রতিটি খাতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজমান ছিল।

খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায় কিছুটা এগিয়ে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড। মূলত মুনাফা তোলার চাপেই গতকালও এ খাতের বেশিরভাগ ফান্ডের ইউনিটদর কমেছে। দিন শেষে মোট লেনদেনে মিউচুয়াল ফান্ডের একক অবদান ছিল ২৪ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাতে। মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৮ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন ১৫ শতাংশ, ব্যাংকিং ১৩ শতাংশের কিছু বেশি এবং প্রকৌশল খাত ৯ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

এদিকে গতকাল আশঙ্কাজনকহারে কমেছে লেনদেন। গতকাল ডিএসইতে মোট ৫৪৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্য দিয়ে লেনদেন সাড়ে তিন মাস আগের অবস্থানে চলে গেছে। এর আগে চলতি বছরের ২৯ জুলাই গতকালের চেয়ে কম লেনদেন হতে দেখা যায়। সেদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৯৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

গতকাল লেনদেন কম হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ বাজারে বহুজাতিক কোম্পানির আইপিও আবেদন চলমান থাকা। এই কোম্পানির শেয়ারে আবেদন করার জন্য অনেক বিনিয়োগকারী সেকেন্ডারি মার্কেটে নতুন করে বিনিয়োগ করেননি। অন্যদিকে সম্প্রতি মাঝেমধ্যে বাজারের ছন্দপতন দেখে কিছুটা শঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। বাজারের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন তারা। যে কারণে নগদ টাকা হাতে রেখে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন অনেকে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com