ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নৌবাহিনী শক্তিশালী করছে পাকিস্তান; সহায়তায় তুরস্ক-চীন

0

চীনের সহায়তায় দ্রুত নৌবহরকে সম্প্রসারণ করে চলেছে পাকিস্তান। দেশটি উচ্চাভিলাষী এক পরিকল্পনার আওতায় আরো অন্তত ৫০টি যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ করবে যার মধ্যে ২০টি হবে বড় আকারের জাহাজ। পাকিস্তানের সাবেক নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল জাফর মাহমুদ আব্বাসি এ কথা জানিয়েছেন।

সাবেক নৌপ্রধান তার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন, এই প্রকল্প আমাদেরকে সাবমেরিন-চালক নৌবাহিনী থেকে সাবমেরিন-নির্মাতা নৌবাহিনীতে রূপান্তর করবে।

তিনি আরো বলেন, চীনের সহায়তায় হাঙ্গর সাবমেরিন প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তান ও চীন চারটি করে সাবমেরিন নির্মাণ করবে। এছাড়াও ২০২৩ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে তুরস্কের কাছ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক মিডিয়াম-ক্লাস শিপ সংগ্রহ করবে পাকিস্তান।

এডমিরাল আব্বাসি বলেন, তার লক্ষ্য ছিলো পাকিস্তান নৌবাহিনীকে একটি যুদ্ধ-প্রস্তুত বাহিনীতে রূপান্তর করা। তাই তিনি সর্বোচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতি ও অপারেশনাল কমপিটেন্সের উপর বিশেষ জোর দেন।

গত বুধবার আব্বাসি তার কমান্ড নতুন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আমজাদ খান নিয়াজির কাছে হস্তান্তর করেন। ইসলামাবাদের পিএনএস জাফর ঘাঁটিতে এই বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

১৯৮৫ সালে পাকিস্তান নৌবাহিনীর অপারেশন ব্রাঞ্জে কমিশন লাভ করেন এডমিরাল নিয়াজি। এর আগে তিনি নৌবাহিনী প্রধানের প্রিন্সিপাল স্টাফ, চীনে এফ-২২পি মিশনের প্রধান, নৌবাহিনীর উপ প্রধান (প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন) ও নৌ গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের ঘোরতর শত্রু। পাকিস্তান নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন করার কথা এমন এক সময় প্রকাশ পেলো যখন ভারত তার সীমান্তে চীনের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত। ভারত অনেক দিন ধরে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের কথা বললেও এখন তা বাস্তব রূপ নিতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে।

পূর্ব লাদাখে ভারত ও চীনের হাজার হাজার সেনা ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছে যে দুই ফ্রন্টে লড়াই করার জন্য তারা প্রস্তুত হয়ে আছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com