বিদেশ থেকে ফিরে আটক হওয়া শ্রমিকদের মুক্তির দাবি অ্যামনেস্টির

0

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আটক হওয়া অন্তত ৩৭০ শ্রমিককে দ্রুত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ নিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর আরেক দফা গণগ্রেপ্তারে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ বা অন্য কোনো অভিযোগও আনা হয়নি। অ্যামনেস্টির দাবি, এভাবে বিদেশ থেকে ফেরা শ্রমিকদের আটক ‘ইন্টারন্যাশনাল কোভিনেন্ট অন সিভিল এন্ড পলিটিক্যাল রাইটস’ বা আইসিসিপিআরের লঙ্ঘন। এ নিয়ে সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেলদের কার্যালয়ের পরিচালক ডেভিড গ্রিফিথস বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ শুধু আটকদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখাতেই ব্যর্থ হয়নি তারা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতেও ব্যর্থ হয়েছে। এই নারী-পুরুষদের ‘নির্বিচারে’ আটকে রাখা হয়েছে যা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিশ্চিতের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন। এরমধ্যে অনেকেই আছেন যারা কয়েক মাস ধরে আটক রয়েছেন।এখন আর দেরি করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অপরাধের অভিযোগ আনতে হবে নইলে তাৎক্ষনিকভাবে তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বাংলাদেশি পুলিশ কমপক্ষে ৩৭০ অভিবাসী শ্রমিককে জেলে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে অপরাধে জড়ানোর সন্দেহে ৫৪ ধারায় ওই শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে। গত ৫ই জুলাই কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে ২১৯ বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফেরেন। তারা সকলেই এখন বন্দি রয়েছেন। আদালতে দেয়া পুলিশের আবেদনে লেখা আছে, এই শ্রমিকরা বিদেশে নানারকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে অপরাধের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাদেরকে শাস্তি কমিয়ে দেয়ার পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এরপর ২১শে জুলাই আরো ৩৬ অভিবাসী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ১লা সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় ৮১ জনকে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com