তুরস্ককে আটকাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনছে গ্রিস

0

তুরস্কের সাথে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যেই গ্রিস বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনার কথা ঘোষণা করেছে। নতুন যেসব অস্ত্র গ্রিস কিনবে তার মধ্যে রয়েছে ১৮টি ফরাসি রাফায়েল যুদ্ধবিমান, চারটি ফ্রিগেট এবং চারটি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার।

গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলেছেন, এ ছাড়াও আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীতে আরো ১৫ হাজার সৈন্য যোগ করা হবে।

গ্রিস যেসব অস্ত্র কিনবে তার মধ্যে আরো রয়েছে নৌবাহিনীর জন্য টর্পেডো, ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিমান বাহিনীর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র। গত দু দশকের মধ্যে এটিই হবে গ্রিসের সবচেয়ে বড় আকারের অস্ত্র ক্রয়।

সম্প্রতি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্যাসের মজুত অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলছেন, “আমাদের সময় এসেছে সশস্ত্রবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার। এবারের অস্ত্র ক্রয় এমন একটি কর্মসূচি যা দেশের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করবে।”

তুরস্ক সম্প্রতি গ্রিক দ্বীপ কাস্তেলোরিজোর জলসীমার কাছে তেল অনুসন্ধানী গবেষণা জাহাজ পাঠায়, যে এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের সামান্য দুরে।

এর জবাবে গ্রিস কয়েকটি ইইউ দেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সাথে নিয়ে সেখানে এক নৌ মহড়া চালায়। তুরস্কের সাথে এই বিবাদে গ্রিসকে সমর্থন দিচ্ছে ফ্রান্স।

ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, তুরস্ক “যে আচরণ করছে তা অগ্রহণযোগ্য” এবং তার সাথে স্পষ্ট ও শক্ত আচরণ করা জরুরি।

তুরস্ক ও গ্রিস – উভয় দেশই নেটো জোটের সদস্য। তা ছাড়া গ্রিস ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য আর তুরস্কের ইইউ সদস্য হবার প্রক্রিয়া এখনো চলছে।

এ দুটি দেশের মধ্যে বিভক্ত দ্বীপ সাইপ্রাস, অভিবাসী সমস্যা নিয়ে বহুকাল ধরেই উত্তেজনা চলছে।

সম্প্রতি তুরস্ক ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করে – যা একসময় কয়েক শতাব্দী ধরে খ্রিস্টান অর্থোডক্স গির্জা ছিল। এ পদক্ষেপের কড়া বিরোধিতা করেছিল গ্রিস। বিবিসি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com