কোকোর জন্মবার্ষিকীতে বিএনপির দিনব্যাপী কর্মসূচি

0

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর আজ ৫১তম জন্মবার্ষিকী। জন্মদিন উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল  মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার এক স্বজন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কোকোর জন্মবার্ষিকীতে দেশে ফিরতে পারছেন না তার স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই মেয়ে জাফিরা ও জাহিয়া রহমান।

শায়রুল বলেন, ‘কোকোর জন্মদিন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার সকাল ১০টায় বনানীতে তার কবর জিয়ারত করবেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সেখানে যাবেন। দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়া বাদ আছর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আরাফাত রহমান। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেন। ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনা হয়। সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। সেখানেই মা খালেদা জিয়া ছেলের মরদেহ দেখে শেষ বিদায় জানান। ওই দিনই বায়তুল মোবারক জাতীয় মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মরহুমের জানাজায় লক্ষ-লক্ষ মানুষের উপস্থিতি ছিল।

খালেদা জিয়ার ওই স্বজন বলেন, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের একটি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন কোকোর বড় মেয়ে জাফিরা রহমান (২১)। তিনি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে পড়ছেন। ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান (১৬) ‘এ’ লেভেলে পড়ছেন। করোনাভাইরাসের কারণে আজ বুধবার বাবার ৫১তম জন্মবার্ষিকীতে দেশে ফিরতে পারছেন না তারা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। ২৬ জানুয়ারি তার লাশ ঢাকায় আনা হয়। সে সময় কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে জাহিয়া ও জাফিরা রহমান দেশে এসেছিলেন। এরপর তারা মালয়েশিয়া চলে যান। পরবর্তীকালে তারেক রহমান কোকোর পরিবারকে লন্ডনে নিয়ে যান। তারেক রহমান সেখানে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই মেয়ের লোকাল অভিভাবক। সেখানে কিংস্টন, লন্ডনে তার বাসার পাশেই একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাদের রাখা হয়েছে। কোকোর দুই মেয়েকে সেখানে ভর্তি করা হয়। তাদের বাসার ব্যবধান পাঁচ মিনিটের পথ।

সরকারের (ষড়যন্ত্রমূলক মামলায়) গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে খালেদা জিয়া সরাসরি তার গুলশানের বাসভবনে ফিরে যান। তার মুক্তির পর কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে ঢাকায় আসতে পারেননি তাদের পড়াশোনার জন্য। সর্বশেষ গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কারাবন্দি শাশুড়ি খালেদা জিয়াকে দেখতে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন শর্মিলা রহমান। ঢাকায় উঠেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়। ৯ দিন অবস্থানের পর ৬ জানুয়ারি বিকেলে শাহবাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন সিঁথি। দেশ ছাড়ার আগে রাতে নিজের বাবার বনানীর বাসায় অবস্থান করেন তিনি। বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বাইরে বের হওয়ার সময় সিঁথি এবং জাহিয়া রহমানকে অঝোরে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। তবে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। পরে ঢাকা ছাড়ার একদিন আগে বনানীতে নিজের বাবার বাসভবনে অবস্থান করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com