বাড়ি দখল করে নিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী, পাহাড়ের গুহায় বসবাস করছে ফিলিস্তিনি পরিবার
ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনাবাহিনী বাড়িঘর ভেঙে দিয়ে জায়গা দখল করে নেওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের গুহার বসবাস করছে অনেক ফিলিস্তিনি পরিবার।
মনজের আবু আররাম নামে এক ব্যাক্তি চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে গত একবছর ধরে পশ্চিম তীরে হেব্রোনের একটি পাহাড়ের গুহায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার পর এখন নতুন করে বাড়ি বানানোর অনুমতিও দিচ্ছেনা। সেকারণে নিরুপায় হয়ে পাহাড়ের গুহায় বসবাস করছেন তারা।
৪৮ বছর বয়সী ও চার সন্তানের বাবা আবু আররাম বলেন, “আমার পরিবার এখন পানীয় জল ও বিদ্যুতের সুবিধা ছাড়াই মারাত্মক পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করছে।”
তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, “ইসরাইল আমাকে আমার বাড়িটি পূণঃনির্মাণের অনুমতি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। আমার বাচ্চারা সবসময় ভয় ও আতংকের মধ্যে বেঁচে আছে। কারণ একটি গুহায় বাস করার কারণে তারা যেকোন সময় সাপ বিচ্ছুর দংশনের শিকার হতে পারে।”
আবু আররামের স্ত্রী হালিমা বলেন, “অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। ইসরাইল আমাদের জমি দখল করার পরিকল্পনা করছে যাতে তাদের বন্দোবস্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে এবং সমস্ত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।”
এদিকে, ইসরাইলি বাহিনী বুলডোজার দিয়ে তার বাড়িটি তিনবার ভেঙে দেওয়ার পর ছয় সন্তানের জননী ৩৮ বছর বয়সী সামিরা আল-জাবরিনও হিব্রোন শহরের দক্ষিণে খিরবত আল-ফখিত শহরে অবস্থিত একটি পাহাড়ের গুহায় বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে বসবাসরত অবস্থায় বারবার ইসরাইলিদের হামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
পশ্চিম তীরে বন্দোবস্ত বিষয়ক ফিলিস্তিনি বিশেষজ্ঞ আবদুল হাদী হানতাশ বলেন, “আমরা হিব্রোনে ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রকার অত্যাচারের মুখোমুখি হচ্ছি। যার জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে ।”