হাসপাতালে করোনা রোগী দেখতে যাওয়া যাবে না- ডা. শাহাদাত

0

চট্টগ্রামে করোনা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আগে যে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যেতো সংবাদে, এখন তা শুনতে হচ্ছে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে।

আমাদের কাছের অনেকেই এখন আক্রান্ত। তাই আমাদের বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই কথাগুলো বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ও স্পোর্টস মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাঃ শাহাদাত হোসেন। 

এই লকডাউনের মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে লাইভে এসে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ সেবা চলছে রবি, মঙ্গল, ও
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত।

তিনি বলেন, এই সময়ে ঘর থেকে বের হওয়া একদমই উচিৎ না। যাদের জীবিকার প্রয়োজনে নিতান্তই বের হতে হচ্ছে, সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কাজ থেকে ঘরে ফিরে তাদের আলাদা এক রুমে এমন ভাবে আইসোলেশানে থাকতে হবে যেন তারা করোনা আক্রান্ত। এতে করে ঘরের বাকিরা তুলনামুলকভাবে নিরাপদ থাকবে। 

এছাড়া পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে, যাদের ঠাণ্ডা বা সর্দি তাদের প্রতি সকালে এবং সন্ধ্যায় তাপমাত্রা পরিমাপ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের জন্য জানালা ২০-৩০ মিনিটের জন্য দিনে ২-৩ বার খুলে দেওা উচিৎ। এতে বাড়ির অভ্যন্তরের বায়ু চলাচল অব্যাহত থাকবে। উপরন্ত, জীবাণুনাশক দ্বারা বাড়ি ও তার আশেপাশের পরিবেশ জীবাণুমুক্ত রাখুন।

তোয়ালে ও পার্সোনাল জিনিস্পত্র থেকে জীবাণু ছড়ায়। তাই একটি তোয়ালে সকলে মিলে ব্যবহার করবেন না। যার যার নিজস্ব তোয়ালে থাকা উচিৎ। এছাড়াও ঘনঘন কাপড় এবং লেপ তোশক রোদে দিন। যত্রতত্র থুথু ফেলবেন না। আর হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু দিয়ে ঢেকে নিন অথবা কনুইয়ের ভাঁজে রেখে হাঁচি কাশি দিন যাতে ঘরের অন্যদের মাঝে না ছড়ায়।

আর সবচাইতে বড় কথা, পরিচিত কারো যদি করোনা হয়েও যায়, যথাসম্ভব ঘরে থেকে সাহায্য করবেন। চট্টগ্রামের মানুষ অনেক সহানুভূতিশীল এবং দেখা যায় যে কেউ অসুস্থ হলে সবাই দলবল বেঁধে ফল আর হরলিক্স নিয়ে রোগি দেখতে যায়। এটা ভুলেও করা যাবেনা। করোনা অসম্ভব এক ছোঁয়াচে রোগ। আপনি রোগি দেখতে গিয়ে বা রোগিকে সাহায্য করতে গিয়ে যতটা না সাহায্য করবেন, তার চাইতেও বেশি নিজের ও নিজের পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনবেন। যদি রোগির সাথে কাউকে থাকতেই হয়, রোগির সাথে প্রথম থেকে যিনি থেকেছেন, তাকেই দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। দুই তিন জন মিলে পালা করে রোগির সাথে থাকা সবার জন্যই বিপদজনক।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com