খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার করা হয়েছে: ফখরুল

0

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকার অবিচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এসেছিলাম আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেবের মাজার জিয়ারত করতে। প্রতিবছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েই এখানে আমরা আসি জিয়ারত করতে। কিন্তু আপনারা জানেন, তিনি অসুস্থ। তার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে আসার। যদিও মাত্র ৬ মাসের জন্য তাকে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে, এটা এটা তার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার করা হয়েছে, ন্যায় বিচার করা হয়নি। তাকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেয়া উচিত ছিলো এবং তার বিচারেও তার যে জামিন পাওয়া উচিত ছিলো, সেই জামিনও বর্তমান ব্যবস্থায় তিনি পাননি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ইনশাল্লাহ উনি যেমন ছিলেন ওর থেকে খারাপ হননি, স্থিতিশীল আছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে কারাবন্দি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।

করোনা মহামারী প্রতিরোধে সরকারের কর্মকান্ডে কোনো সমন্বয় নেই, তারা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো না, সমন্বয় ছিলো না এবং এখনো নেই। করোনাভাইরাসকে ন্যুনতম প্রতিরোধের একটা কাছাকাছি আনার চেষ্টা করা থেকেও তারা(সরকার) ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এই কথা বলি না যে, এটা তারা পুরোটাই পারবেন। কারণ পুরোটা পারা সম্ভব নয়, নতুন একটা জিনিস। কিন্তু যে ইচ্ছ, যে প্রচেষ্টা, সকলকে আপনার সাথে নিয়ে বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ যারা তাদেরকে সাথে নিয়ে এইটাকে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিতসা হচ্ছে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দেখুন- এখন যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক আছেন, গুরুত্বপূর্ণ লোক আছেন তারা কিন্তু অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে করোনাভাইরাসের হাসপাতাল হিসেবে। সেখানে তারা যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।আমরা মনে করি যে, এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাত বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গেই পড়েছে। যার কারণে কারো আস্থা সেখানে থাকছে না।

মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শেরে বাংলানগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গনে যান। তারা কবরে সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। মহাসচিব ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com