আবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ‘পরিকল্পনা’ যুক্তরাষ্ট্রের

0

কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ব্যাপারে আলোচনা করছে মার্কিন প্রশাসন। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটির শুক্রবারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের পরীক্ষা পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশগুলোর মধ্যে নতুন প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সবশেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।

মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এবং সাবেক দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ মে একটি মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

মার্কিন প্রশাসন বারবার দাবি করছে, চীন-রাশিয়া তাদের নিজস্ব কিছু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু মস্কো এবং বেইজিং থেকে সে দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে রাশিয়া-চীনের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বসতে ওয়াশিংটনের ‘র‌্যাপিড টেস্ট’ ক্ষমতার প্রদর্শন কার্যকর একটি কৌশল হতে পারে।’’

মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসেননি। আলোচনা চলমান থাকবে কি না, তা নিয়ে আছে মতানৈক্য।

পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী কর্মীরা এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড্যারিল কিমবল যেমনটি বলছেন, ‘অভূতপূর্ব পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার এটাই হতে পারে শুরু।’

তিনি মনে করেন, এর কারণে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গেও পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে।

রাশিয়ার সঙ্গে ‘মুক্ত আকাশ চুক্তি’ থেকে সরে আসার একদিন বাদে এমন খবর দিল ওয়াশিংটন পোস্ট। ক্ষমতায় আসর পর এ নিয়ে তিনবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রাম্প।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com