দুই হাজার কেজি চালের মধ্যে ৩শ কেজি গায়েব করে দিলেন চেয়ারম্যান

0

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া সরকারি চাল বিতরণে চরম অনিয়ম করেছেন। তার হেফাজত থেকে চলমান করোনাভাইরাস সংকটে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক হাজার ৭শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। আরও ৩শ কেজি চালের হদিস পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও টিপসই নিলেও ভিজিডি কর্মসূচির চাল না দিয়ে তা লুটপাট করে নেয়ার অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফত রানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে এবং অভিযোগের সত্যতা পায়।

অভিযানের খবর পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর সত্যতা স্বীকার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, গত ২/৩ মাস ধরে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়ম করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া। সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাদের টিপসইও রয়েছে। কিন্তু তারা চাল পায়নি। এছাড়া চলমান করোনাভাইরাস সংকটে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা। কিন্তু প্রতি বস্তায় তিনি ৯ কেজি করে চাল ঢুকিয়ে রাখেন। এসব চালও বন্টন না করে নিজের হেফাজতে রাখেন। ২ হাজার কেজি চাল ওই ইউনিয়নে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যে এক হাজার ৭শ কেজি পাওয়া গেলেও ৩শ কেজির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

এক হাজার ৭শ কেজি চাল জব্দ করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৬ (৫) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি পলাতক রয়েছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com