বালক জানলে না দেশের আসল গল্পটা কি?

0

তরুন তুমি কি বুঝেছ ডাঃ জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী কে ? আজব তামাশা করা হচ্ছে ডাঃ জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী নিয়ে বিশেষ করে তরুন সমাজে। বলা হচ্ছে ডাঃ জাফর উল্লাহ নাকি উন্মাদ তাঁর পেন্টের চেইন খোলা,মুখ দিয়ে থ ুথু পড়ে। বালক জানলে না দেশের আসল গল্পটা কি? কারা দেশের আসল হিরো আর কারা ভিলেন। দুর্নিতীবাজ অল্প শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত,অশিক্ষিত নেতা,এমপি আর মন্ত্রিদের চামচামি করতে গিয়ে নিজের দেশে ইতিহাস চর্চা ভ‚লে যেওনা। আজকে যারা ট্রল করছ ডাঃ জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীকে তারাই আবার মাথায় তুলে নাচ করছ ড. জাফর ইকবালকে নিয়ে। দেশের ইতিহাসে গল্প বলা এই ড.জাফর ইকবালরা দেশের ইতিহাস সৃষ্টি করেনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ডাঃ জাফর উল্লাহরা। ইকবালরা তোমাদের ইতিহাস জানতে দেয় না ওঁরা ইতিহাসের চিত্রনাট্য নতুন করে সাজিয়ে তোমাদের গল্প শোনায়। যে গল্পবাজরা যাদের জীবন নিয়ে গল্প লেখা শিখেছে সেই সাহসী বীরেরা আজ উপেক্ষিত। উপহাসের পাত্র হচ্ছে। ট্রল করা হচ্ছে তাঁদের। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হল, পাকিস্থানীদের নির্মম অত্যাচারের খবর শোনে লন্ডনের হাইড পার্কে গর্জে উঠেছিল অনেক বাঙ্গালী তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ডাঃ জাফর উল্লাহ। তখন তিনি এফআরসিএস পরীক্ষার্র্থী মাত্র এক মাস পর ছিল এফআরসিএস ফাইনাল পরীক্ষা । সেদিন হাইড পার্কে তাঁর সাথে ছিলেন আর একজন ডাক্তার তখন তাঁরা তাৎক্ষনিক পাকিস্তানী পাসপোর্ট ছিড়ে আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দিয়ে ছিলেন। নিজেদেরকে পরিণত করলেন রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে। পাড়ি জমান ভারতে উদ্দেশ্য ছিল কোলকাতা হয়ে বাংলাদেশে গিয়ে মুক্তি যোদ্ধে অংশ নেয়া। জীবনের অনেক ঝুকি নিয়ে সফল হয়েছিলেন তাঁরা। এব্যাপারে বিস্তারীত জানা যায় জাহানারা ইমামের একত্তরের দিনগুলি বইটিতে। করোনা একটি বৈশ্বিক মহমারী প্রতিটা দেশে হেল্থ ফিল্ডে একজন নার্সও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরা বিশ্ব একটি ভয়ংতর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তৃতীয় বিশ্বের একটি জনবহুল দেশ বাংলাদেশ । যেখানে মহামারী একবার তার মাত্রা অতিক্রম করে ফেললে দেশের জনগোষ্ঠী রক্ষা করা দুষ্কর হয়ে পড়বে। সেখানে একজন ডাক্তার,বিজ্ঞানী,গবেষককে বার বার উপেক্ষিত করা হচ্ছে। নিজের দেশে করোনার কিট আবিস্কার সেতো আমাদের সৌভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তুু রাজনীতি হচ্ছে একজন আবিস্কারককে নিয়ে। একজন দেশীয় বিজ্ঞানীকে নিয়ে। তাঁর গোড়ায় কারা ? তারা রাজনৈতিক লুঠেরা যারা আজ অসহায় গরীব মানুষের ত্রাণের চাল চুরি করছে, ধানকাটার নামে অসহায় কৃষকের ক্ষেতে গিয়ে ঘাম ঝড়া কৃষকদের সার্কাসের কমেডিয়ান বানিয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিল করছে। ঠিকই একই রকম ডাক্তার জাফর ইল্লাহকে সার্কাসের কমেডিয়ান বানানোর চেষ্টা করছে সরকারের ধুসররা । দেশের স্বার্থে করোনার কিট উৎপাদন করে কেন তাঁকে সরকারের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরতে হল ? তাহলে কি ব্যবসা ? বাণিজ্য ? কত আর লুটপাট আর বাণিজ্য ? দেশের ঝড়িতে তো আর কিছুই নেই। সব সেক্টরে কি চাঁদাবাজি করা উচিত ? ডাক্তার জাফর উল্লাহকে এই কিট উৎপাদনের জন্য এই মহামারীর সময়কালের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষনা করা উচিত ছিল। অথচ তাঁতে ধিক্কার পেতে হয়েছে। তরুনদের দিয়ে বলানো হয়েছে তার পেন্টের চেইন খোলা, তার জামায় ইস্ত্রী নেই,মুখ দিয়ে লালা পড়ে। একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং আবিস্কারককে উন্মাদ বানানোর অপচেষ্ঠা মাত্র। যদি তাঁদের সাথে আপোষ করতেন জাফর উল্লাহ স্যার বাণিজ্যিক মুনাফ হাতে ধরিয়ে দিতেন গোপনে তখন তাঁকে আর ট্রল করার সুযোগ কেউ পেত না বরং বাহবা আর হাততালী দিত সবাই। কিন্তুু তিনি তা করেন নি। আপোষহীন তিনি । মাথা নত করেননি । একজন বীর কখনও আপোষ করেনা অন্যায়ের কাছে। উল্টো দেখিয়ে দিয়েছেন সারা বিশ্বে তাঁর আবিষ্কারে মুল্য কত। বিশ্বের অনেক দেশ থেকে তাঁর কিট নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কারন বিশ্ববাসী ডাঃ জাফর উল্লাহকে চিনে। তিনি কে ? মনে আছে প্রায় দেড় বছর আগে বিশ্বের প্রায় ১০০ দেশে থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা বাংলাদেশে এসেছিলেন একটি সম্মেলন করার জন্য। তখন সম্মেলনটিকে বানচাল করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত ফজলে হোসেন আবেদ (ব্য্রাক এর প্রতিষ্ঠাতা) এর সহযোগিতায় সম্মেলনটি সফল হয়েছিল। সম্মেলনে আসা হাজার হাজার সাস্থ্য কর্মীর মধ্যো সবাই ছিল তরুন । তাঁরা বিভিন্ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কাজ করে। তাঁদের সবারই প্র্রথম চাওয়াই ছিল ডাঃ জাফর উল্লাহকে এক নজর দেখা। কারন যে সমস্থ দেশ থেকে এই স্বাস্থ্য কর্মীরা এসেছেন তাঁদের প্রত্যেক এর দেশেই স¦াস্থ্য সেক্টরে ডাঃ জাফর উল্লাহ একজন রোল মডেল। তাঁরা উনার সম্পর্কে শুনেছেন বহুবার। ডাক্তার জাফল উল্লাহ স্যার এর মত মানুষ বাংলাদেশে বার বার জন্ম হবেনা। এরাই আমাদের দেশের কোটি কোট মানুষের ছায়া । কিন্তুু পরিতাপের বিষয় উনাদের মূল্যায়নটা খোঁজে পাইনা। উল্টো তরুনের উনাদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করে। হে তরুন তুমি কি জান ? এই জাফর উল্লাহ ই ১৯৭১ এ ফিল্ড হাসপাতাল বানিয়েছিলেন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিতে। গণস্বাস্থ্য নামে জনগণরে মালকিানায় বশিাল প্রতষ্ঠিান বানয়িছেনে। গরীবদরে জন্য ৩০০ টাকায় কডিনী ডায়ালাইসসি সন্টোর বানয়িছেনে, তার প্রতষ্ঠিান কম দামে ওষুধ দয়ে, বাংলাদশে দুনয়িাব্যাপী যে ওষুধ রপ্তানীর জন্য র্গব করনে জাতীয় ওষুধ নীতরি প্রণয়নে অন্যতম ভূমকিায় ছলিনে। ১৯৭৮ সালে প্রাথমকি স্বাস্থ্য সবো নশ্চিতি করার জন্য আর্ন্তজাতকি সম্মলেনে বশ্বিরে সকল রাষ্ট্ররে সস্মততিে আলমা আতা ঘোষণা গৃহতি হয়। বাংলাদশে এর অন্যতম প্রধান স্বাক্ষরকারী দশে এবং বাংলাদশেরে কছিু ব্যক্তি সরাসরি এই ঘোষণা প্রণয়নরে সাথে যুক্ত হবার গৌরব র্অজন করছেনে। তাঁদরে মধ্যে গণস্বাস্থ্য কন্দ্রেরে ডাঃ জাফরুল্লাহ। হে তরুন তুমি কি জান ?, তোমি কিংবা তোমার পরিবারের কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে তোমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন ? জেনে নাও —আর এও জেনে নাও ডাঃ জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী কে ? তরাপর শ্লোগান দাও–ইটের উপর ইট,জাফর উল্লাহ্ কিট।। লেখকঃ আরিফ মাহফুজ ,যুক্তরাজ্য

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com